অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : জামালপুরের বকশীগঞ্জে দৈনিক ভোরের কাগজের সাংবাদিক রাশেদুল ইসলাম রনিকে উপজেলা পরিষদে মারধর করে তুলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদের সদস্য শিরা সরোয়ার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে।
রবিবার (৯ এপ্রিল) বেলা ১টার দিকে বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
রনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সম্প্রতি উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক একটি বিষয় নিয়ে স্থানীয় একজন সাংবাদিকের গায়ে হাত তোলেন। বিষয়টি নিয়ে ভোরের কাগজে সংবাদ করি। এরপর থেকেই চেয়ারম্যান ও তার সমর্থকদের সঙ্গে আমার মনোমিলন্য চলে আসছিল। জামালপুর জেলা পরিষদের সদস্য শিলা সরোয়ার চেয়ারম্যান সিদ্দিকের সমর্থক এবং ঘনিষ্ঠজন।’
সাংবাদিক রনি আরও বলেন, ‘রবিবার দুপুরে আমি উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থানের সময় জেলা পরিষদের সদস্য শিলা সরোয়ার আমাকে ডেকে নিয়ে যান। তার ডাকে আমি উপজেলা পরিষদের সামনে গেলে শিলা সরোয়ার, তার গাড়ির ড্রাইভার ও বডিগার্ড আমাকে মারধর শুরু করেন। এরপর তারা আমাকে অপহরণের চেষ্টা করেন। আমার মোবাইল ও পকেটে থাকা টাকা নিয়ে যান। পরে আমার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে আমাকে উদ্ধার করেন।’
তিনি বলেন, ‘ঘটনার পরপরই আমি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসি। এখনও চিকিৎসাধীন। আমি খুব দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেবো। আমি হামলাকারীদের বিচার চাই।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা পরিষদের সদস্য শিলা সরোয়ার। তিনি বলেন, ‘সাংবাদিক রনিকে মারধর করা হয়নি। রনি আমার একটি গান বিকৃত করে ফেসবুকে ছেড়েছেন। এক পিকনিকে আমি গান গেয়েছিলাম। সেই গানটি বিকৃত করে ফেসবুকে ছেড়েছেন রনি।’
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর বলেন, ‘আমাদের একটি পিকনিকে গান গেয়েছিলেন শিলা। আর সেই গানে কিছুটা নেচেছিলেন চেয়ারম্যান সিদ্দিক। সেই গানটি বিকৃত করে রবিবার সকালে ফেসবুকে ছাড়েন সাংবাদিক রনি। এরপর শিলা সাংবাদিক রনিকে উপজেলায় দেখতে পেয়ে আমার কাছে আনার জন্য টানাহেঁচড়া করেন। এ সময় তার ড্রাইভার ও বডিগার্ডও টানাহেঁচড়া করেন। এতে সাংবাদিক রনির হাত ও পায়ের কিছু জায়গা ছিলে যায়। এর চেয়ে বেশি কিছু হয়নি।’
এসব বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও অভিযোগ পাইনি। শুধু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছি। অভিযোগ পেলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।’
Leave a Reply